বর্তমান বিশ্ব যেন আধুনিকরণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। প্রতিটি দেশে ব্যবসা-বাণিজ থেকে শুরু করে। সকল ক্ষেত্রে টেকনোলজি ব্যবহার করছে। প্রতিটি সেক্টরে টেকনোলজির নতুন নতুন উদ্ভাবন ঘটছে। আমাদের দেশেও টেকনোলজি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালন হচ্ছে। আর এই টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করাকে ই-কমার্স বলে।
![]() |
ই-কমার্স কি? ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ |
ই-কমার্স কি?
ই-কমার্স হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা কেনা বেচার একটি প্রক্রিয়া। যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন পূর্ণ বা সেবা অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। তখন সে পদ্ধতি কিংবা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমকে ই-কমার্স বলে। ই-কমার্স এর মাধ্যমে ঘরে বসে ২৪ ঘন্টায় কেনাকাটা করা যায়।
এছাড়াও একই সাথে পণ্যের সু-বিশাল সমাহার তো রয়েছেই। আবার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন সরাসরি পণ্য স্পর্শ করতে না পারা। প্রতারণার ঝুঁকি কিংবা ভুয়া কোম্পানির ভাদে পড়া। তাই আসুন আমরা ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনে আসি।
ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ?
ক্রেতাদের জন্য সুবিধা?
১. ঘরে বসে কেনাকাটা
ই-কমার্সের মাধ্যমে যেহেতু আপনার হাতে থাকা ফোন থেকে অর্ডার করে সব পাচ্ছেন। তাই আপনাকে আর কষ্ট করে গরমের মাঝে যানজট আর ভিড় অপেক্ষা করে বাজারে যেতে হবে না। তাছাড়া আপনি যদি ঢাকা শহরের মতো কোন ব্যস্ততম শহরে থাকেন। তাহলে তো জানেন! গরমে জ্যাম আর ভিড় অপেক্ষা করে কেনাকাটা করা কতটা বিরক্তির।
২. সময় এবং খরচের সাশ্রয়
৩. বিভিন্ন অপশন থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ
৪. দরদাম ছাড়াই কেনাকাটা করা সম্ভব
ই-কমার্সে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একই প্রোডাক্টের দাম বাছাই করে কিনতে পারবেন। আপনাকে আর দোকানে দোকানে ঘুড়ে পণ্যের দাম জিজ্ঞেস করতে হবে না।
![]() |
ই-কমার্স কি? ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ |
বিক্রেতাদের জন্য সুবিধা?
১. অল্প পুঁজিতে ব্যবসায় করা যায়
২. আন্তর্জাতিক মার্কেটে বিক্রির সুযোগ
ই-কমার্স ব্যবসায় দেশ থেকে শুরু করে বিদেশেও ব্যবসায় পরিচালন করা যায়। যেটা ফিজিক্যাল দোকানে একেবারে অসম্ভব।
৩. ২৪/৭ খোলা থাকে
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং এবং SEO-এর মাধ্যমে ক্রেতা বৃদ্ধির সুযোগ
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করে বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন। এছাড়া ইমেইল ক্যাম্পেইন ও গুগল সার্চ Seo করে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ক্রেতাদের জন্য অসুবিধা?
১. ডেলিভারি জটিলতা
২. ফেরত দেওয়ার ঝামেলা
৩. পণ্য সরাসরি স্পর্শ করার সুযোগ না থাকা
ই-কমার্স সাইটে পণ্য কেনার আগে সরাসরি পণ্য স্পর্শ করার সুযোগ থাকে না। এটি অনেক টা জটিল প্রক্রিয়া শুধুমাত্র ছবি ও পণ্যের রেটিং দেখে পণ্য ক্রয় করতে হয়। যা অনেক সময় হতাশাজনক হতে পারে।
৪. প্রতারণার ঝুঁকি
বিক্রেতাদের জন্য অসুবিধা
১. ওয়েবসাইট তৈরি ও তার নিরাপত্তা
২. শুরুর দিকে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা কঠিন
৩. ডেলিভারি ও রিটার্ন সমস্যা
৪. মার্কেটিং ও seo না বুঝা
![]() |
ই-কমার্স কি? ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ |
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ?
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। কেননা দিন যত যাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকার মতো আমাদের দেশেও নতুন নতুন টেকনোলজির উদ্ভাবন ঘটছে৷ তাই আসা করা যায় বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। নিচে বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করা হল।
১. প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা
বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বৃদ্ধির সাথে মানুষ এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছে। দিন দিন বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা। তাই আশাকরা যায়, আগামী দিনে ই-কমার্স বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধ হবে।
২. নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন
সময়ের সাথে ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে আসতাছে নতুন নতুন ফিচার। যা কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও উন্নত করে তুলবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কমার্স আরও স্মার্ট বাজার হয়ে উঠছে।


