শিশুর কান্না থামানোর দোয়া

শিশুদের কান্না করা এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে হ্যা আপনার ছোট শিশু যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কান্না করে। বা পেটে ক্ষুধা নেই তবও সবসময় কান্না করে। তাহলে অবশ্যই এই বিষয় আপনার ভেবে দেখা উচিত। আমরা অনেক সময় দেখে থাকি শিশু বাচ্চা অনেক কান্না করছে এবং বাচ্চাটি কি কারণে কান্না করছে তা পিতা মাতা বুঝতে পারেন না। আপনার বাচ্চা যদি অতিরিক্ত কান্না করে তাহলে আপনি মহান আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস করে বেশ কিছু দোয়া পাঠ করতে পারেন।

শিশুর কান্না থামানোর দোয়া

শিশুর কান্না থামানোর দোয়া

আপনার যদি মনে হয় যে, আপনার বাচ্চা জ্বীনের প্রভাবে কিংবা বদ নজরের কারণে অতিরিক্ত কান্না করছে। তাহলে অবশ্যই শিশুর কান্না থামানোর দোয়া পাঠ করে বাচার গায়ে ফু দিতে হবে। আমরা নিচে বেশ কিছু বাচ্চার কান্না থামানোর দোয়া উল্লেখ করেছিল। যেমনঃ


বাচ্চার কান্না বন্ধ করার উপায় আমল দোয়া?

একটি ছোট বাচ্চা বিভিন্ন কারণে কান্না করতে পারে। তাই অবশ্যই পিতা মাতার উচিত সন্তানের প্রতি যত্নশীল ও সাবধান থাকা। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে তোমাদের শিশু বাচ্চাকে ঘর নিয়ে তোমরা দুধ পান করাও এবং তাদেরকে তোমরা ঘরের ভিতরে নিয়ে যাও এবং দরজা জানালা বন্ধ করে দাও।


অতএব আমাদের ইসলাম ধর্মে শিশু বাচ্চার কান্না বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে বিভিন্ন দোয়া ও আমল আছে। এই দোয়া ও আমলগুলো আপনার বাচ্চা কান্না থামানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারেন। আর্টিকেলটির এই পর্যায় আমরা বাচ্চার কান্না থামানোর উপায় ও আমল উল্লেখ করলাম। যেমনঃ


আপনার বাচ্চা যদি অতিরিক্ত কান্না করে তাহলে আপনি সুন্দর করে ওযু করে ইয়া হাসি বু আল্লাহর এই গুণবাচক নামটি ১১বার পাঠ করে বাচ্চার শরীরে ফু দিবেন। ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। আমার নিচে বাচ্চার কান্না থামানোর কয়েকটি সূরার নাম উল্লেখ করলাম। যেমনঃ

  1. সুরা নাস পড়ে ফুক দেওয়া।
  2. সুরা জীনের প্রথম ৫ আয়াত ৭বার পড়ে ফুক দেওয়া।
  3. পনেরো বার সূরা ইখলাস পড়ে শরীরে ফুক দেওয়া।
  4. আয়তুল কুরসি পড়ে শরীরে ফুক দেওয়া।


শিশুর কান্না থামানোর দোয়া?

আপনার যদি আদরের ছোট বাচ্চা অনেক বেশি কান্না করে। এবং আপনি বুঝতে পারেন না কি জন্য কান্না করছে। এমন হতে পারে জ্বীনের বদ নজর লাগছে। অতএব আপনি নিচের দোয়াটি পাঠ করতে পারেন যেমনঃ


    شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ

    وَالْمَلَيْكَةُ وَأُولُوا الْعِلْمِ قَابِما بِالْقِسْطِ

     لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ


এবং এর বাংলা উচ্চারণঃ 

শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, ওয়াল মালায়িকাতু, ওয়া উলুল্ ইলমি কায়িমাম বিক্বিসতি, লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল আযীযুল হাকীম


আয়াতের বাংলা অর্থঃ 

আল্লাহ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নাই, এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানীগণ তাঁহার সুবিচার বিশ্বাস করেন এবং সেই মহাপরাক্রান্ত বিজ্ঞানময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই।


যেভাবে আয়াতটি পাঠ করবেনঃ

উপরে উল্লেখিত আয়াত সাত বার পাঠ করুন। সাতবার পাঠ করা হয়ে গেলে একটি সুতার মধ্যে ফু দিয়ে গিট তৈরি করুণ। ঠিক এই নিয়মে সুতাটির মধ্যে সাতটি গিট তৈরি করুন। এরপর আপনার কান্না করা সন্তানের গলায় বেঁধে দিন। ইনশাআল্লাহ আপনার সন্তানের কান্না থেমে যাবে।

শিশুর কান্না থামানোর দোয়া

শিশুর কান্না থামানোর দোয়া



বাচ্চা কান্না করলে কি দোয়া পড়তে হয়?

আমরা ইতিপূর্বে বলেছি এখনও বলতেছি একটি বাচ্চা বিভিন্ন কারণে কান্না করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গরম লাগা, ঠান্ডা লাগা, পেটে ব্যথা হওয়া এবং অস্বস্তির কারণেও কান্না করতে পারে। আবার বেশিরভাগ সময় ক্ষুধার কারণে বাচ্চা কান্না করে। 

তাই অবশ্যই বাচ্চার কান্না তাড়াতাড়ি থামানো উচিত। আমরা উপরে বাচ্চা কান্না থামানোর দোয়া উল্লেখ করেছি। যেগুলো আপনারা পাঠ করে বাচ্চার কান্না থামাতে পারেন। এছাড়াও আরও বেশ কয়টি বাচ্চা কান্না থামানোর দোয়া নিচে উল্লেখ করলাম। যেমনঃ

  • বদ নজর দূর করতে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করতে পারেন।
  • বাচ্চার মাথার উপর হাত রেখে সুরা ফাতিহা, সূরা নাস পাঠ করে ফু দিতে পারেন।
  • সূরা নাস ও আয়াতুল কুরসি পাঠ করে বাচ্চাকে ফু দিতে পারেন।


এগুলো ছাড়াও বাচ্চার কান্না বন্ধ করার দোয়া ও আমল নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো। যেমনঃ


বিহাক্কি ওয়া ইন্নাকা লাআলা খুলুক্বি‌ন  আযীমিন্‌, ওয়া বিহাক্কি ওয়া লাইছাজ্জাকারু কাল উনছা, ওয়া ইন্নী ছাম্মাইতুহা মারইয়ামা ওয়া ইন্নী উঈযুহা বিকা ওয়া যুররিয়্যাতাহা মিনাশ্‌ শাইত্বা‌নির রায়ীম। (এই দোয়াটি একবার পাঠ করে শিশুর উপরে ফু দিয়ে দিবে)।


    বিসমিল্লা হির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা ইন্নি আুযু বিকা মিন শররি মা খলকতু ও বারায়ে ওস্বয শরিয়তি আলা নাফিয়াতি ওকালাতি।(শিশুর শরীর বন্ধের দোয়া)।


বাচ্চা রাতে কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়?

ছোট বাচ্চাদের কান্না থামানোর ক্ষেত্রে অনেকগুলো সুরা রয়েছে। আপনার এই সূরাগুলো পাঠ করতে পারেন। পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূরা ইখলাস। এই সূরাটি ১৫ বার পাঠ করে বাচ্চার বাড়ির দিকে ফু দিলে ইনশাআল্লাহ সেই বাচ্চাটির কান্না থেমে যাবে। 


এছাড়াও বাচ্চা যদি গভীর রাতে হঠাৎ করে কান্না করে ওঠে। তাহলে সূরা ফালাক তিনবার পাঠ করে কান্না করা বাচ্চার শরীরে ফু দিন। ইনশাল্লাহ বাচ্চার কান্না থেমে যাবে।


শেষ কথা?

আশাকরি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে বাচ্চার কান্না থামানোর দোয়া ও আমল জানতে পারছেন। আপনার বাচ্ছা যদি কান্না করে থাকে তাহলে অবশ্যই বিশ্বাসের সাথে উপরের দোয়া ও আমলগুলো করুণ। ইনশাআল্লাহ এই দোয়া ও আমলগুলোর মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন। এরকম ইসলামিক কোন বিষয়ে যদি আপনার জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ 


প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা আসুন নামাজ পড়ি, সমস্ত পাপ কাজ ছেড়ে দেই, দীনের পথে থেকে, সৎ পথে থেকে জীবন গড়ি

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post