দাড়ি একজন পুরুষকে সৌন্দর্যময় করে তোলে। বলা হয়ে থাকে নারীদের পর্দা যেমন ভূষণ, তেমনি দাড়ি পুরুষের প্রাথমিক পরিচয়। এই দাড়ি অনেকের ঘন, অনেকের পাতলা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। একেক জন মানুষের একেকরকম দাড়ি হয়। দাড়ি হচ্ছে আল্লাহর দান।
![]() |
দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ |
বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলো ঘন দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। এবং কিছু ঔষধ রয়েছে, যেগুলো কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই, দাড়ি ঘন গজাতে সাহায্য করে। আমরা মূলত আজকে আলোচনা করব দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ সম্পর্কে। আপনারা বেশ কিছু দাড়ি গজানোর উপায় এবং ওষুধ ব্যবহার করে দাড়ি গজানো বৃদ্ধি করতে পারবেন।
দ্রুত দাড়ি গজানোর উপায়?
১. নিয়মিত মুখ পরিস্কার
প্রতিদিন অন্তত দুইবার ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। মুখ ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার ত্বক দাড়ি বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
২. আমলকী তেলের ব্যবহার
৩. পর্যাপ্ত ঘুমানো
৪. ইউক্যালিপটাস
ইউক্যালিপটাস দ্রুত দাড়ি বড় করতে সাহায্য করে থাকে। ইউক্যালিপটাস সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে দৈনিক ত্বক ম্যাসাজ করুন। এটি আপনার বাজারে খুব সহজে পেয়ে জাবেন।
৫. পেঁয়াজের রস
৬. ভিটামিনযুক্ত খাবার গ্রহণ
আরো পড়ুন: লাল শাকে কি এলার্জি আছে
৭. স্ট্রেস কমান
আমরা কিন্তু সকলে জানি অতিরিক্ত টেনশন একজন সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে দিতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অতিরিক্ত টেনশন বা চাপ মুক্ত থাকতে পারলে দাড়ি দ্রুত গজানো শুরু করে।
৮. দাড়ির যত্নে সঠিক তেল বাছাই
বাজারে বিভিন্ন ধরনের দাড়ি গজানোর তেল পাওয়া যায়। সেই তেল ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা জাবে না। যেকোন তেল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
৯. শরীরচর্চা করুন
১০. বিক্ষিপ্ত দাড়ি
![]() |
দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ |
দাড়ি ঘন করার তেল ব্যবহার করুন
কে না চায় মুখ ভরতি দাড়ি থাক। পুরুষের আসল সৌন্দর্য দাড়িতে। দাড়ি ঘন করার জন্য আমরা বেশ কিছু তেল এর নাম নিচে উল্লেখ করছি। যেগুলো আপনার দাড়ি ঘনকালো করতে সহায়ক। যেমনঃ
- আমন্ড অয়েল (Almond oil)
- অলিভ অয়েল (Olive oil)
- নারিকেল তেল (coconut oil)
- ক্যাস্টর অয়েল (Castor oil)
- রোজমেরি অয়েল (Rosemary oil)
- ল্যাভেন্ডার অয়েল (Lavender oil)
এখন বাজারে বিভিন্ন ধরণের দাড়ি গজানোর তেল পাওয়া যায়। যেগুলো দাড়ি ঘন কালো করতে সাহায্য করে এবং দাড়ি নরম ও মসৃণ রাখে।
দাড়ি বৃদ্ধির তেলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
বাহির থেকে ফেরার পর করণীয়?
বাহিরে যেকোন কাজ থেকে ফেরার পর ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। পারলে সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই স্ক্রাব ত্বকের গভীরের ময়লা তুলে নতুন দাঁড়ি গজাতে সহায়তা করে থাকে।
আরো পড়ুন: গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ ?
আমরা জানি যে, একজন পুরুষের বয়সন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ অবস্থায় দাড়ি গজায়। সাধরণত একজন বালক প্রাপ্তবয়স্ক হয় ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সে। অর্থাৎ এই সময় তার শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মুখে আস্তে আস্তে দাড়ি গজানো।
বয়সের এই সময়ে মুখমন্ডলের লোমকূপে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন এর উদ্দীপনার কারণে দাড়ি গজায়। তবে হ্যাঁ, অনেকের পারিবারিক কিংবা জন্মগত কারণেও দাড়ি-গোঁফ কম বা দেরিতে ওঠে। তাই অবশ্যই চিকিৎসক কর্তৃক শারীরিক পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়ার যাবে।
হরমোনের সমস্যার কারণে দাড়ি উঠতে বিলম্ব হচ্ছে। যদি হরমোনের সমস্যার কারণে এমন হয় তাহলে চিকিৎসা সম্ভব। আমরা নিচে দাড়ি গজানোর ঔষধের নাম উল্লেখ করলাম আপনারা ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধ গুলো খেতে পারেন। যেমনঃ
- মিনোক্সিডিল
- বেয়ার্ড ওয়েল
আরো পড়ুন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শেষকথা?
দাড়ি গজানো এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে অনেকের হরমোনগত সমস্যা, জেনেটিক কারণ, পুষ্টির ঘাটতি কিংবা ভুল ত্বক চর্চার কারণে দাড়ি গজাতে বিলম্ব হতে পারে। আর তাই এখন বাজারে বিভিন্ন ধরণের দাড়ি গজানোর তেল ও ঔষধ পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ ভুয়া ও ক্ষতিকর প্রোডাক্ট ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
তাই দাড়ি গজানোর জন্য যেকোন ঔষধ বা তেল ব্যবহারের আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আশাকরি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। এরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। ধন্যবাদ

